Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

Title
রোয়ানু থেকে নিরাপদ থাকতে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিন
Details
রোয়ানু নামের সাইক্লোনটি এখন চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ১৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিম, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিম এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি আজ দুপুর থেকে বিকেলের মধ্যে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর প্রভাবে উপকূলের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। তবে এটি শ্রীলংকা এবং ভারত উপকূলে ইতিমধ্যেই যথেষ্ট শক্তি হারিয়ে ফেলায় নিকট অতীতে সিডর, আইলা বা নার্গিসের মত তেমন প্রলয়ঙ্করী হবে না, বরং মহাসেনের মত প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটাবে। ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় প্রচণ্ড বাতাস শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে উপকূলীয় এলাকাসহ সারাদেশে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ভোলার তজুমদ্দিনে ঝড়ের কবলে গাছ ও বাড়ীচাপা পড়ে দুইজন নিহত হবার খবর পাওয়া গেছে। অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি ও দোকানপাট বিধ্বস্ত হয়েছে বলেও জানা গেছে। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘুর্ণিঝড়টির কারণে শ্রীলংকায় ৪৩জন নিহত হয়েছে এবং লক্ষাধিক মানুষকে বাড়ি থেকে সরিয়ে নিতে হয়েছে। ভারতেও প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বাংলাদেশেও এই ঘুর্ণিঝড়ের কারণে পাহাড় ধ্বসে এবং গাছ বা বাড়ী ধ্বসে মৃত্যুর সম্ভাবনা আছে। তাই পাহাড় কেটে তৈরী করা বসতির সবাই নিরাপদ অবস্থানে চলে যান, নার্সারী থেকে কেনা চারা দিয়ে রোপন করা গাছ থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকুন। এই গাছগুলোর প্রধান মূল নেই বলে এগুলো সামান্য বাতাসেই উপড়ে পরে মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়। এছাড়া কাঁচা বাড়িতে অবস্থান না করে ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়াই নিরাপদ।
Attachments
Publish Date
21/05/2016